তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান হুঁশিয়ার করে বলেছেন, সীমানা রক্ষায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আসা সমস্ত সন্ত্রাসী হুমকি দূর করে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে তার দেশ দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

মঙ্গলবার রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সফল আন্তঃসীমান্ত অভিযানের মাধ্যমে তুরস্ক স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীনভাবে দেখিয়েছে যে, তারা তার ভূখণ্ডে কোনো ‘সার্জিক্যাল অ্যাটাক’ সহ্য করবে না।’

তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান এ সময় উল্লেখ করেন, সিরিয়া ও ইরাকে বিমান অভিযানে তুর্কি বাহিনী গত ৫ দিনে ১১৪টি পিকেকে/ওয়াইপিজি সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে, এতে ৭৮ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। উত্তরাংশে তুর্কি সৈন্যদের লক্ষ্য করে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার পরই অভিযান চালায় দেশটির বাহিনী।

খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার উত্তর ইরাকে পিকেকে সন্ত্রাসীদের সাথে সংঘর্ষে নয় তুর্কি সৈন্য নিহত হওয়ার পর এই অভিযান চালানো হয়। ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ক্ল-লক’ পরিচালনা করছে তুরস্ক।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে-কে অস্ত্র, গোলাবারুদ, প্রশিক্ষণ এবং আশ্রয় প্রদানের মাধ্যমে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে তুরস্ককে অভ্যন্তরীণ অশান্তিতে টেনে নেওয়ার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।

এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, ‘যেহেতু আমাদের সাথে করা প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করা হচ্ছে না, তাই তুরস্ক তার নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কেউ তাতে আপত্তি করতে পারে না।’ এক্ষেত্রে দেশটির দক্ষিণ সীমান্তে একটি বাফার জোন প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন তিনি।